শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছেন সাধরণ শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্যের পাশাপাশি প্রক্টর ড. আলমগীর কবীর, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় স্লোগানে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘যেই ভিসি বোমা মারে, সেই ভিসি চাই না’, ‘যেই ভিসি গুলি মারে, সেই ভিসি চাই না’, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘পতন পতন পতন চাই, উপচার্যের পতন চাই’, ‘ভিসির গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হল ও বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলে প্রভোস্টদের রুমে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এরপর প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন হলে তালা ঝুলানোর কথা জানিয়েছেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা ক্যাম্পাস ও হল ছাড়বেন না। যতক্ষণ না স্বৈরাচার উপাচার্য পদত্যাগ করছেন ততক্ষণ আন্দোলনের মাঠে থাকবেন তারা। যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও যেকোনো পরিস্থিতিতে হল ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক রাশেদ তালুকদারকে সভাপতি, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেনকে সদস্য সচিব এবং সব ডিনকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আন্দোলনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোশতাক আহমেদ।
এর আগে বোরবার বিকেলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে ৫০ জনের অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।